স্বাগতম Today GK Guide viewers!
বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় (যেমন RRB, SSC, PSC ইত্যাদি) ইতিহাস থেকে নিয়মিতভাবে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ) আসে। তাই এই বিষয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা অতীতের বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা এবং সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস সম্পর্কিত MCQ প্রশ্ন ও উত্তর উপস্থাপন করেছি।
ইতিহাস MCQ প্রশ্নোত্তর Part -(01)
Q1. সন্ত কবীর -এর গুরু হলেন?
✅ Option: B) রামানন্দ
ব্যাখ্যা: বিশ্বাস করা হয়, ছোটবেলায় কবীরদাস গঙ্গার ঘাটে শুয়ে ছিলেন এবং রামানন্দজি অজান্তে তাঁর উপর পা দেন। তখন রামানন্দের মুখ থেকে ‘রাম রাম’ শব্দ বের হয়, আর কবীর সেটাকেই দীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন।
ব্যাখ্যা: বিশ্বাস করা হয়, ছোটবেলায় কবীরদাস গঙ্গার ঘাটে শুয়ে ছিলেন এবং রামানন্দজি অজান্তে তাঁর উপর পা দেন। তখন রামানন্দের মুখ থেকে ‘রাম রাম’ শব্দ বের হয়, আর কবীর সেটাকেই দীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন।
Q2. কার শাসনকালে সাঁচি স্তুপ নির্মিত হয়?
✅ Option: A) অশোক
ব্যাখ্যা: সাঁচি স্তুপ সম্রাট অশোকের শাসনকালে নির্মিত হয়। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর বুদ্ধের ধর্ম প্রচার ও স্মৃতিরক্ষার জন্য এটি নির্মাণ করান।সাঁচি স্তুপ হলো এক ধরনের গম্বুজাকৃতি স্মৃতিসৌধ, যা বুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তন ও শিক্ষা সম্বন্ধে স্মৃতি রক্ষার জন্য তৈরি মাটি বা ইট দিয়ে তৈরি গম্বুজাকৃতি সমাধি বা স্মৃতিসৌধ।
ব্যাখ্যা: সাঁচি স্তুপ সম্রাট অশোকের শাসনকালে নির্মিত হয়। তিনি বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর বুদ্ধের ধর্ম প্রচার ও স্মৃতিরক্ষার জন্য এটি নির্মাণ করান।সাঁচি স্তুপ হলো এক ধরনের গম্বুজাকৃতি স্মৃতিসৌধ, যা বুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তন ও শিক্ষা সম্বন্ধে স্মৃতি রক্ষার জন্য তৈরি মাটি বা ইট দিয়ে তৈরি গম্বুজাকৃতি সমাধি বা স্মৃতিসৌধ।
Q3. কে বল্লভ ভাই প্যাটেলকে 'সর্দার ' আখ্যা দেন?
✅ Option: B) মহাত্মা গান্ধী
ব্যাখ্যা: ১৯২৮ সালের বারদোলি সত্যাগ্রহে বল্লভভাই প্যাটেল অসাধারণ নেতৃত্ব ও সাহসিকতা দেখান। তিনি কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেন এবং আন্দোলনকে সফল করেন। তাঁর এই দৃঢ় নেতৃত্ব ও সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মহাত্মা গান্ধী তাঁকে ‘সর্দার’ উপাধি দেন।
ব্যাখ্যা: ১৯২৮ সালের বারদোলি সত্যাগ্রহে বল্লভভাই প্যাটেল অসাধারণ নেতৃত্ব ও সাহসিকতা দেখান। তিনি কৃষকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেন এবং আন্দোলনকে সফল করেন। তাঁর এই দৃঢ় নেতৃত্ব ও সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মহাত্মা গান্ধী তাঁকে ‘সর্দার’ উপাধি দেন।
Q4. নিম্নলিখিত কোন জোড় টি ভুল?
✅ Option: C) বারিদ শাহী- বেরার
ব্যাখ্যা: বারিদশাহীর রাজধানী ছিল — বিদার, এবং বেরারের শাসকরা ছিলেন ইমাদশাহী বংশের। অর্থাৎ সঠিকভাবে বলা যায় — বারিদশাহী — বিদার, ইমাদশাহী — বেরার । তাহলে ভুল জোড়াটি হলো — বারিদশাহী — বেরার।
ব্যাখ্যা: বারিদশাহীর রাজধানী ছিল — বিদার, এবং বেরারের শাসকরা ছিলেন ইমাদশাহী বংশের। অর্থাৎ সঠিকভাবে বলা যায় — বারিদশাহী — বিদার, ইমাদশাহী — বেরার । তাহলে ভুল জোড়াটি হলো — বারিদশাহী — বেরার।
Q5. নিম্নলিখিত কোনটি 'কুরু' মহাজনপদের রাজধানী?
✅ Option: B) ইন্দ্রপ্রস্থ
ব্যাখ্যা: ‘কুরু’ মহাজনপদের রাজধানীর নাম ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ ও হস্তিনাপুর। কুরু মহাজনপদ বৈদিক যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ছিল, যা বর্তমানে দিল্লি ও উত্তর ভারতের অংশে অবস্থিত ছিল। হস্তিনাপুর কুরু বংশের প্রধান কেন্দ্র ছিল এবং ইন্দ্রপ্রস্থকে মহাভারতের সময় পাণ্ডবদের রাজধানী বলা হতো।
ব্যাখ্যা: ‘কুরু’ মহাজনপদের রাজধানীর নাম ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ ও হস্তিনাপুর। কুরু মহাজনপদ বৈদিক যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য ছিল, যা বর্তমানে দিল্লি ও উত্তর ভারতের অংশে অবস্থিত ছিল। হস্তিনাপুর কুরু বংশের প্রধান কেন্দ্র ছিল এবং ইন্দ্রপ্রস্থকে মহাভারতের সময় পাণ্ডবদের রাজধানী বলা হতো।
Q6. কে পাটলিপুত্র শহরের প্রতিষ্ঠাতা?
✅ Option: A) উদয়ন
ব্যাখ্যা: পাটলিপুত্র শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অজাতশত্রুর পুত্র উদয়ন।তবে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, অজাতশত্রু (মগধের হর্যঙ্ক বংশের রাজা) পাটলিপুত্র শহরের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তাঁর পুত্র উদয়ন এটি আরও সমৃদ্ধ ও সুসজ্জিত করেন। শহরটি গঙ্গা, সোন ও গণ্ডক নদীর সঙ্গমে অবস্থিত হওয়ায় তা বাণিজ্য ও শাসনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে পাটলিপুত্র ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা নামে পরিচিত।
ব্যাখ্যা: পাটলিপুত্র শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন অজাতশত্রুর পুত্র উদয়ন।তবে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, অজাতশত্রু (মগধের হর্যঙ্ক বংশের রাজা) পাটলিপুত্র শহরের ভিত্তি স্থাপন করেন এবং তাঁর পুত্র উদয়ন এটি আরও সমৃদ্ধ ও সুসজ্জিত করেন। শহরটি গঙ্গা, সোন ও গণ্ডক নদীর সঙ্গমে অবস্থিত হওয়ায় তা বাণিজ্য ও শাসনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে পাটলিপুত্র ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনা নামে পরিচিত।
Q7. গদর পার্টি' কোথায় ও কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
✅ Option: A) আমেরিকা, ১৯১৩
ব্যাখ্যা: ‘গদর পার্টি’ ১৯১৩ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ভারতীয় অভিবাসীদের দ্বারা গঠিত একটি বিপ্লবী সংগঠন, যার লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করা। গদর পার্টির নেতাদের মধ্যে লালা হরদয়াল, সন্তক সিং, কর্তার সিং সরভা প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
ব্যাখ্যা: ‘গদর পার্টি’ ১৯১৩ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ছিল ভারতীয় অভিবাসীদের দ্বারা গঠিত একটি বিপ্লবী সংগঠন, যার লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করা। গদর পার্টির নেতাদের মধ্যে লালা হরদয়াল, সন্তক সিং, কর্তার সিং সরভা প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।
Q8. নিম্নলিখিত কোন নেতা কংগ্রেসের চরমপন্থী দলের অন্তর্ভুক্ত?
✅ Option: A) অরবিন্দ ঘোষ
ব্যাখ্যা: তিনি ১৯০৬–১৯০৮ সালের মধ্যে চরমপন্থী নেতাদের অন্যতম হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সরাসরি আন্দোলন, বয়কট, স্বদেশী ও সশস্ত্র বিপ্লবই ভারতের স্বাধীনতার পথ। অরবিন্দ ঘোষ কিছুদিন পর্যন্ত কংগ্রেসের চরমপন্থী দলকে নেতৃত্ব দেন এবং পরে রাজনীতি ছেড়ে পন্ডিচেরিতে চলে যান, যেখানে তিনি আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনোনিবেশ করেন। এবং আরো যারা ছিলেন তারা হলেন, বাল গঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায় ও বিপিন চন্দ্র পাল ।
ব্যাখ্যা: তিনি ১৯০৬–১৯০৮ সালের মধ্যে চরমপন্থী নেতাদের অন্যতম হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সরাসরি আন্দোলন, বয়কট, স্বদেশী ও সশস্ত্র বিপ্লবই ভারতের স্বাধীনতার পথ। অরবিন্দ ঘোষ কিছুদিন পর্যন্ত কংগ্রেসের চরমপন্থী দলকে নেতৃত্ব দেন এবং পরে রাজনীতি ছেড়ে পন্ডিচেরিতে চলে যান, যেখানে তিনি আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনোনিবেশ করেন। এবং আরো যারা ছিলেন তারা হলেন, বাল গঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায় ও বিপিন চন্দ্র পাল ।
Q9. নিম্নলিখিত কে 'মুদ্রারাক্ষস' গ্রন্থের লেখক?
✅ Option: D) বিশাখদত্ত
ব্যাখ্যা: এটা একটি সংস্কৃত নাটক, যা মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক ও চাণক্যের কূটনীতি নিয়ে রচিত। নাটকটিতে চাণক্যের বুদ্ধিমত্তা ও রাক্ষস (নন্দ বংশের মন্ত্রী) এর সঙ্গে তার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও শেষে সমাধানের কথা বলা হয়েছে।‘মুদ্রারাক্ষস’ ভারতের প্রাচীন রাজনীতি ও কূটনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকৃতি।
ব্যাখ্যা: এটা একটি সংস্কৃত নাটক, যা মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেক ও চাণক্যের কূটনীতি নিয়ে রচিত। নাটকটিতে চাণক্যের বুদ্ধিমত্তা ও রাক্ষস (নন্দ বংশের মন্ত্রী) এর সঙ্গে তার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও শেষে সমাধানের কথা বলা হয়েছে।‘মুদ্রারাক্ষস’ ভারতের প্রাচীন রাজনীতি ও কূটনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকৃতি।
Q10. নিম্নলিখিতের মধ্যে কে 'লোকনায়ক' হিসেবে পরিচিত?
✅ Option: A) জয় প্রকাশ নারায়ণ
ব্যাখ্যা: জয়প্রকাশ নারায়ণ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজবাদী নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭০–এর দশকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং জনস্বার্থে পরিচালিত তাঁর আন্দোলনের জন্য মানুষ তাকে ভালোবেসে ‘লোকনায়ক’ (জনতার নেতা) বলে সম্মানিত করেন।বিশেষ করে ১৯৭৪ সালের বিহার আন্দোলন ও পরে ভারতের ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এই উপাধি অর্জন করেন।
ব্যাখ্যা: জয়প্রকাশ নারায়ণ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজবাদী নেতা ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭০–এর দশকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং জনস্বার্থে পরিচালিত তাঁর আন্দোলনের জন্য মানুষ তাকে ভালোবেসে ‘লোকনায়ক’ (জনতার নেতা) বলে সম্মানিত করেন।বিশেষ করে ১৯৭৪ সালের বিহার আন্দোলন ও পরে ভারতের ‘সম্পূর্ণ ক্রান্তি’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এই উপাধি অর্জন করেন।
Q11. কে দিল্লিতে অশোক স্তম্ভ এনেছিলেন?
✅ Option: C) ফিরোজ শাহ তুঘলক
ব্যাখ্যা: তিনি তুঘলক বংশের সুলতান ছিলেন (শাসনকাল: ১৩৫১–১৩৮৮ খ্রিঃ)। তিনি মেরঠ ও টোপরার (বর্তমান হরিয়ানা) থেকে দুইটি অশোক স্তম্ভ এনে দিল্লিতে স্থাপন করেন। এই স্তম্ভগুলো বর্তমানে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা ও রিজ অঞ্চলে দেখা যায়। ফিরোজ শাহ প্রাচীন স্থাপত্য ও শিলালিপির সংরক্ষণেও আগ্রহী ছিলেন। তাই এনাকে ভারতের মধ্যযুগের একজন সংরক্ষণশীল শাসক হিসেবে মনে করা হয়।
ব্যাখ্যা: তিনি তুঘলক বংশের সুলতান ছিলেন (শাসনকাল: ১৩৫১–১৩৮৮ খ্রিঃ)। তিনি মেরঠ ও টোপরার (বর্তমান হরিয়ানা) থেকে দুইটি অশোক স্তম্ভ এনে দিল্লিতে স্থাপন করেন। এই স্তম্ভগুলো বর্তমানে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা ও রিজ অঞ্চলে দেখা যায়। ফিরোজ শাহ প্রাচীন স্থাপত্য ও শিলালিপির সংরক্ষণেও আগ্রহী ছিলেন। তাই এনাকে ভারতের মধ্যযুগের একজন সংরক্ষণশীল শাসক হিসেবে মনে করা হয়।
Q12. নায়ানার এর সঙ্গে সম্পর্কিত?
✅ Option: B) শৈব ধর্ম
ব্যাখ্যা: নায়ানার (Nayanars) মূলত দক্ষিণ ভারতের (তামিলনাড়ু) ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁরা ছিলেন শৈব সাধক অর্থাৎ শিব ভক্ত সাধক এবং শৈব ধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নায়ানাররা শিবকে ভক্তি ও সেবার মাধ্যমে আরাধনা করতেন এবং মূর্তিপূজা ও মন্দির ভিত্তিক উপাসনার প্রচলন করেন। তাঁদের রচিত ভক্তিমূলক পদাবলী তামিল সাহিত্যে তিরুমুরাই নামে পরিচিত।
ব্যাখ্যা: নায়ানার (Nayanars) মূলত দক্ষিণ ভারতের (তামিলনাড়ু) ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাঁরা ছিলেন শৈব সাধক অর্থাৎ শিব ভক্ত সাধক এবং শৈব ধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। নায়ানাররা শিবকে ভক্তি ও সেবার মাধ্যমে আরাধনা করতেন এবং মূর্তিপূজা ও মন্দির ভিত্তিক উপাসনার প্রচলন করেন। তাঁদের রচিত ভক্তিমূলক পদাবলী তামিল সাহিত্যে তিরুমুরাই নামে পরিচিত।
Q13. সুফি সন্ত যিনি মুঘল সম্রাট আকবরের সঙ্গে জড়িত তিনি কে?
✅ Option: C) শেখ সেলিম চিস্তি
ব্যাখ্যা: কথিত আছে মুঘল সম্রাট আকবরের কোনো সন্তান হচ্ছিল না, তখন তিনি সুফি সাধক শেখ সেলিম চিস্তি-এর আশীর্বাদ নেন। তাঁর আশীর্বাদেই জাহাঙ্গীরের জন্ম হয়। কৃতজ্ঞতায় আকবর ফতেহপুর সিক্রিতে তাঁর সমাধি ও মসজিদ নির্মাণ করেন।
ব্যাখ্যা: কথিত আছে মুঘল সম্রাট আকবরের কোনো সন্তান হচ্ছিল না, তখন তিনি সুফি সাধক শেখ সেলিম চিস্তি-এর আশীর্বাদ নেন। তাঁর আশীর্বাদেই জাহাঙ্গীরের জন্ম হয়। কৃতজ্ঞতায় আকবর ফতেহপুর সিক্রিতে তাঁর সমাধি ও মসজিদ নির্মাণ করেন।
Q14. নিম্নলিখিতের মধ্যে কে 'দেওয়ান -ই -খয়রাত' নামে আলাদা বিভাগ চালু করেছিলেন?
✅ Option: C) ফিরোজ শাহ তুঘলক
ব্যাখ্যা: ‘দেওয়ান-ই-খয়রাত’ নামে আলাদা বিভাগ চালু করেছিলেন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক। এই বিভাগটি মূলত গরিব, এতিম, বিধবা, অসহায় মানুষের সাহায্য করার জন্য চালু করা হয়। এখানে থেকে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থসাহায্য দেওয়া হতো।
ব্যাখ্যা: ‘দেওয়ান-ই-খয়রাত’ নামে আলাদা বিভাগ চালু করেছিলেন দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক। এই বিভাগটি মূলত গরিব, এতিম, বিধবা, অসহায় মানুষের সাহায্য করার জন্য চালু করা হয়। এখানে থেকে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও অর্থসাহায্য দেওয়া হতো।
Q15. অশোকের শিলালেখ কোন লিপিতে লেখা হয়েছিল?
✅ Option: B) ব্রাহ্মী
ব্যাখ্যা: সম্রাট অশোক তাঁর ধর্মপ্রচার ও উপদেশ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ভাষা ও লিপি ব্যবহার করতেন। যার বেশিরভাগ শিলালিপি ও স্তম্ভলিপি পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই প্রাকৃতিক পাথরে খোদাই করা এবং ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে (বর্তমান — আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ) কিছুলিপি খরোষ্ঠী লিপি এবং কিছু গ্রিক ও আরামাইক ভাষাতেও লেখা হয়েছিল।কিন্তু ভারতের মূল ভূখণ্ডের অশোকের অধিকাংশ শিলালিপি লেখা হয়েছিল ব্রাহ্মী লিপিতে।
ব্যাখ্যা: সম্রাট অশোক তাঁর ধর্মপ্রচার ও উপদেশ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ভাষা ও লিপি ব্যবহার করতেন। যার বেশিরভাগ শিলালিপি ও স্তম্ভলিপি পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই প্রাকৃতিক পাথরে খোদাই করা এবং ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে (বর্তমান — আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ) কিছুলিপি খরোষ্ঠী লিপি এবং কিছু গ্রিক ও আরামাইক ভাষাতেও লেখা হয়েছিল।কিন্তু ভারতের মূল ভূখণ্ডের অশোকের অধিকাংশ শিলালিপি লেখা হয়েছিল ব্রাহ্মী লিপিতে।
Q16. কনৌজের যুদ্ধের সময়কাল কত?
✅ Option: C) ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: কনৌজের যুদ্ধের সময়কাল ছিল ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ। এই যুদ্ধটি হয়েছিল মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের শাহ সূরী-এর মধ্যে। পাণিপথের প্রথম যুদ্ধের পর মুঘল সাম্রাজ্য স্থাপন হয়, কিন্তু বাবরের মৃত্যুর পরে হুমায়ুন শাসনকালে শের শাহ সূরী তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ১৫৪০ সালের ১৭ মে কনৌজের যুদ্ধে শের শাহ সূরী হুমায়ুনকে পরাজিত করেন এবং মুঘলদের ভারতে ক্ষমতা হারাতে হয় এবং দিল্লির সিংহাসনে সূরী বংশের শাসন শুরু হয়।
ব্যাখ্যা: কনৌজের যুদ্ধের সময়কাল ছিল ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ। এই যুদ্ধটি হয়েছিল মুঘল সম্রাট হুমায়ুন এবং আফগান নেতা শের শাহ সূরী-এর মধ্যে। পাণিপথের প্রথম যুদ্ধের পর মুঘল সাম্রাজ্য স্থাপন হয়, কিন্তু বাবরের মৃত্যুর পরে হুমায়ুন শাসনকালে শের শাহ সূরী তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ১৫৪০ সালের ১৭ মে কনৌজের যুদ্ধে শের শাহ সূরী হুমায়ুনকে পরাজিত করেন এবং মুঘলদের ভারতে ক্ষমতা হারাতে হয় এবং দিল্লির সিংহাসনে সূরী বংশের শাসন শুরু হয়।
Q17. প্রথম ভারতীয় শাসক যিনি রাজস্ব ব্যয় করে হজ যাত্রার আয়োজন করেন তিনি কে?
✅ Option: B) ফিরোজ শাহ তুঘলক
ব্যাখ্যা: তিনি ছিলেন তুঘলক বংশের শাসক (১৩৫১–১৩৮৮), যিনি সরকারি অর্থ ব্যয় করে দরিদ্র মুসলমানদের জন্য হজে যাওয়ার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করেছিলেন।
ব্যাখ্যা: তিনি ছিলেন তুঘলক বংশের শাসক (১৩৫১–১৩৮৮), যিনি সরকারি অর্থ ব্যয় করে দরিদ্র মুসলমানদের জন্য হজে যাওয়ার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করেছিলেন।
Q18. মধ্যযুগীয় ভারতে স্থায়ী পেশা ভিত্তিক সৈন্যব্যবস্থার প্রচলন করেন কে?
✅ Option: A) আলাউদ্দিন খলজি
ব্যাখ্যা: মধ্যযুগীয় ভারতে স্থায়ী পেশা ভিত্তিক সৈন্যব্যবস্থার প্রচলন করেন আলাউদ্দিন খিলজি। তিনি ইকতা প্রথা বাতিল করে 'দাগ' ও 'হুলিয়া' প্রথা চালু করেন এবং সৈন্যদের নিয়মিত বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, যা একটি স্থায়ী পেশাভিত্তিক সৈন্যবাহিনী গঠনে সহায়ক ছিল।
ব্যাখ্যা: মধ্যযুগীয় ভারতে স্থায়ী পেশা ভিত্তিক সৈন্যব্যবস্থার প্রচলন করেন আলাউদ্দিন খিলজি। তিনি ইকতা প্রথা বাতিল করে 'দাগ' ও 'হুলিয়া' প্রথা চালু করেন এবং সৈন্যদের নিয়মিত বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, যা একটি স্থায়ী পেশাভিত্তিক সৈন্যবাহিনী গঠনে সহায়ক ছিল।
Q19. সত্যমেব জয়তে' কথাটির উৎস কোথা থেকে?
✅ Option: C) মুন্ডক উপনিষদ
ব্যাখ্যা: মুণ্ডক উপনিষদের (৩.১.৬) একটি শ্লোক থেকে নেওয়া হয়েছে যার বাংলা অর্থ সত্যই জয়ী হয়, মিথ্যা নয়। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভের নিচে এই বাক্যটি লেখা থাকে এবং এটি ভারত সরকারের একটি মূল নীতি ও জাতীয় বাণী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাখ্যা: মুণ্ডক উপনিষদের (৩.১.৬) একটি শ্লোক থেকে নেওয়া হয়েছে যার বাংলা অর্থ সত্যই জয়ী হয়, মিথ্যা নয়। ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোকস্তম্ভের নিচে এই বাক্যটি লেখা থাকে এবং এটি ভারত সরকারের একটি মূল নীতি ও জাতীয় বাণী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
Q20. স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে কে শের-ই-পাঞ্জাব নামে পরিচিত?
✅ Option: B) লালা লাজপতরায়
ব্যাখ্যা: ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশনের প্রতিবাদ মিছিলের সময় পুলিশি লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান । পাঞ্জাবের জনগণের স্বার্থে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য পাঞ্জাবের জনগণ তাকে ভালোবেসে ‘শের-ই-পাঞ্জাব’ অর্থাৎ পাঞ্জাবের বাঘ উপাধি দেন।
ব্যাখ্যা: ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশনের প্রতিবাদ মিছিলের সময় পুলিশি লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন এবং পরে মারা যান । পাঞ্জাবের জনগণের স্বার্থে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য পাঞ্জাবের জনগণ তাকে ভালোবেসে ‘শের-ই-পাঞ্জাব’ অর্থাৎ পাঞ্জাবের বাঘ উপাধি দেন।
Q21. প্রাক-বৈদিক যুগ সম্বন্ধে জানা যায় নিম্নলিখিত কোনটি থেকে?
✅ Option: A) প্রত্নতাত্ত্বিক খনন
ব্যাখ্যা: প্রাক-বৈদিক যুগ অর্থাৎ সিন্ধু সভ্যতা বা হরপ্পা মহেঞ্জোদারো যুগ সম্পর্কিত তথ্য সম্বন্ধে জানা যায় সেখানের উদ্ধারকৃত মৃৎপাত্র, মূর্তি, সিলমোহর, স্থাপত্য ও অন্যান্য নিদর্শন থেকে। এই যুগে লিখিত কোনো সাহিত্য পাওয়া যায়নি, তাই প্রত্নতাত্ত্বিক খননকৃত বস্তু ও স্থাপনা থেকেই সভ্যতার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা করা হয়।
ব্যাখ্যা: প্রাক-বৈদিক যুগ অর্থাৎ সিন্ধু সভ্যতা বা হরপ্পা মহেঞ্জোদারো যুগ সম্পর্কিত তথ্য সম্বন্ধে জানা যায় সেখানের উদ্ধারকৃত মৃৎপাত্র, মূর্তি, সিলমোহর, স্থাপত্য ও অন্যান্য নিদর্শন থেকে। এই যুগে লিখিত কোনো সাহিত্য পাওয়া যায়নি, তাই প্রত্নতাত্ত্বিক খননকৃত বস্তু ও স্থাপনা থেকেই সভ্যতার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা করা হয়।
Q22. দক্ষিণ ভারতে গুপ্তদের সমসাময়িক ছিলেন?
✅ Option: D) বাকাটক
ব্যাখ্যা: দক্ষিণ ভারতে, গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক সময়ে বাকাটকদের উত্থান হয়েছিল। বাকাটকরা প্রায় আড়াইশ বছর ধরে দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে রাজত্ব করেছিল এবং গুপ্তদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল উত্তর ভারতে, যেখানে বাকাটকরা দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করত। এই দুটি সাম্রাজ্য একে অপরের সমসাময়িক ছিল এবং একে অপরের উপর প্রভাব ফেলেছিল। বাকাটকরা ছিল একটি শক্তিশালী রাজবংশ যারা মালওয়া এবং গুজরাটের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে তুঙ্গভদ্রা নদী পর্যন্ত এবং পশ্চিমে আরব সাগর থেকে পূর্বে ছত্তিশগড় পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে শাসন করত।
ব্যাখ্যা: দক্ষিণ ভারতে, গুপ্ত সাম্রাজ্যের সমসাময়িক সময়ে বাকাটকদের উত্থান হয়েছিল। বাকাটকরা প্রায় আড়াইশ বছর ধরে দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে রাজত্ব করেছিল এবং গুপ্তদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল উত্তর ভারতে, যেখানে বাকাটকরা দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করত। এই দুটি সাম্রাজ্য একে অপরের সমসাময়িক ছিল এবং একে অপরের উপর প্রভাব ফেলেছিল। বাকাটকরা ছিল একটি শক্তিশালী রাজবংশ যারা মালওয়া এবং গুজরাটের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে তুঙ্গভদ্রা নদী পর্যন্ত এবং পশ্চিমে আরব সাগর থেকে পূর্বে ছত্তিশগড় পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে শাসন করত।
Q23. পাকিস্তান' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
✅ Option: D) রহমত আলি
ব্যাখ্যা: পাকিস্তান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন চৌধুরী রহমত আলী। তিনি ১৯৩৩ সালে "নাউ অর নেভার" (Now or Never) শীর্ষক একটি লিফলেট প্রকাশ করেন, যেখানে এই নামটি প্রথম উল্লেখ করা হয়। এই লিফলেটে তিনি ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলির জন্য একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্রের প্রস্তাব করেন, যার নামকরণ করেন "পাকিস্তান"।
ব্যাখ্যা: পাকিস্তান শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন চৌধুরী রহমত আলী। তিনি ১৯৩৩ সালে "নাউ অর নেভার" (Now or Never) শীর্ষক একটি লিফলেট প্রকাশ করেন, যেখানে এই নামটি প্রথম উল্লেখ করা হয়। এই লিফলেটে তিনি ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলির জন্য একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্রের প্রস্তাব করেন, যার নামকরণ করেন "পাকিস্তান"।
Q24. গৌতম বুদ্ধ প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেন?
✅ Option: A) সারনাথ
ব্যাখ্যা: গৌতম বুদ্ধ প্রথম ধর্ম প্রচার করেন সারনাথে। এটি উত্তর প্রদেশের বারাণসী শহরের কাছে অবস্থিত। সেখানে তিনি তার প্রথম শিষ্যদের কাছে তার ধর্মমত প্রচার করেন, যা বৌদ্ধ ধর্মানুসারে "ধর্মচক্র প্রবর্তন" নামে পরিচিত।
ব্যাখ্যা: গৌতম বুদ্ধ প্রথম ধর্ম প্রচার করেন সারনাথে। এটি উত্তর প্রদেশের বারাণসী শহরের কাছে অবস্থিত। সেখানে তিনি তার প্রথম শিষ্যদের কাছে তার ধর্মমত প্রচার করেন, যা বৌদ্ধ ধর্মানুসারে "ধর্মচক্র প্রবর্তন" নামে পরিচিত।
Q25. কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮৫৭ এর সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়?
✅ Option: C) সৈন্যদেরকে চর্বি মাখানো কার্তুজের সরবরাহ
ব্যাখ্যা: ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারের জন্য নতুন কার্তুজ যা গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি ছিল, যা হিন্দু ও মুসলিম সৈন্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এই কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে বন্দুকে ভরতে হত, তাই এটি ব্যবহারের ফলে সৈন্যদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ ছিল যেমন রাজনৈতিক কারণ, অর্থনৈতিক কারণ, সমাজ ও ধর্মীয় কারণের ফলে সেপাই বিদ্রোহের সূচনা হয়।
ব্যাখ্যা: ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহারের জন্য নতুন কার্তুজ যা গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে তৈরি ছিল, যা হিন্দু ও মুসলিম সৈন্যদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। এই কার্তুজ দাঁত দিয়ে কেটে বন্দুকে ভরতে হত, তাই এটি ব্যবহারের ফলে সৈন্যদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এছাড়াও আরো কিছু কারণ ছিল যেমন রাজনৈতিক কারণ, অর্থনৈতিক কারণ, সমাজ ও ধর্মীয় কারণের ফলে সেপাই বিদ্রোহের সূচনা হয়।
Q26. কোন সালে মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করা হয়েছিল?
✅ Option: A) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও অহিংসার পথপ্রদর্শক। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। তিনি সেই দাঙ্গা থামানোর জন্য উপবাস ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। কিন্তু কিছু চরমপন্থী হিন্দু মনে করত, গান্ধী মুসলিমদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। সেই কারণে এক উগ্রপন্থী হিন্দু ব্যক্তি নাথুরাম গডস তাকে দিল্লির বীরলা ভবনের প্রার্থনাস্থলে গুলি করে হত্যা করেছিল।
ব্যাখ্যা: মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও অহিংসার পথপ্রদর্শক। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়। তিনি সেই দাঙ্গা থামানোর জন্য উপবাস ও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান। কিন্তু কিছু চরমপন্থী হিন্দু মনে করত, গান্ধী মুসলিমদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। সেই কারণে এক উগ্রপন্থী হিন্দু ব্যক্তি নাথুরাম গডস তাকে দিল্লির বীরলা ভবনের প্রার্থনাস্থলে গুলি করে হত্যা করেছিল।
Q27. জৈন ধর্মের কোন সম্প্রদায়ের লোকেরা কোন বস্ত্র পরিধান করে না?
✅ Option: B) দিগম্বর
ব্যাখ্যা: জৈন সম্প্রদায় দুটি প্রধানসম্প্রদায়ে বিভক্ত, দিগম্বর এবং শ্বেতাম্বর । দিগম্বর ঐতিহ্যের সন্ন্যাসীরা পোশাক পরেন না।
ব্যাখ্যা: জৈন সম্প্রদায় দুটি প্রধানসম্প্রদায়ে বিভক্ত, দিগম্বর এবং শ্বেতাম্বর । দিগম্বর ঐতিহ্যের সন্ন্যাসীরা পোশাক পরেন না।
Q28. ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্টস অ্যাক্ট পাশের সময় ভারতের ভাইসর কে ছিলেন?
✅ Option: C) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
ব্যাখ্যা: ১৯৪৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা আইন যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয়, তখন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন ভারতের শেষ ভাইসরয়। এই আইনটি ব্রিটিশ ভারতকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করে: ভারত ও পাকিস্তান। মাউন্টব্যাটেন ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেলও ছিলেন।
ব্যাখ্যা: ১৯৪৭ সালের ভারতীয় স্বাধীনতা আইন যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয়, তখন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন ভারতের শেষ ভাইসরয়। এই আইনটি ব্রিটিশ ভারতকে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত করে: ভারত ও পাকিস্তান। মাউন্টব্যাটেন ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের এবং ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেলও ছিলেন।
Q29. কোন বিখ্যাত হিন্দু রাজা বঙ্গোপসাগর পার হয়ে সুমাত্রা, জাভা ও মালয়েশিয়ার বেশ কিছু রাজ্য জয় করেছিলেন?
✅ Option: A) প্রথম রাজেন্দ্র চোল
ব্যাখ্যা: রাজেন্দ্র চোল একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করেন এবং এই নৌবাহিনী ব্যবহার করে তিনি বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সুমাত্রা, জাভা ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্য জয় করেন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে শ্রীবিজয় সাম্রাজ্য ছিল অন্যতম।
ব্যাখ্যা: রাজেন্দ্র চোল একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করেন এবং এই নৌবাহিনী ব্যবহার করে তিনি বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সুমাত্রা, জাভা ও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্য জয় করেন। এই রাজ্যগুলির মধ্যে শ্রীবিজয় সাম্রাজ্য ছিল অন্যতম।
Q30. জৈন ধর্ম অনুসারে নির্বাণ লাভকারী ব্যক্তিকে কী বলা হয়?
✅ Option: D) অরাহন্ত
ব্যাখ্যা: জৈন ধর্ম অনুসারে, নির্বাণ লাভকারী ব্যক্তিকে "অরহত" বলা হয়। যার অর্থ "পূজনীয়" বা "শ্রদ্ধেয়" জৈন ধর্মে, অরহত সেই ব্যক্তি যিনি সমস্ত জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করেছেন এবং পরম জ্ঞান ও মুক্তি অর্জন করেছেন।
ব্যাখ্যা: জৈন ধর্ম অনুসারে, নির্বাণ লাভকারী ব্যক্তিকে "অরহত" বলা হয়। যার অর্থ "পূজনীয়" বা "শ্রদ্ধেয়" জৈন ধর্মে, অরহত সেই ব্যক্তি যিনি সমস্ত জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ করেছেন এবং পরম জ্ঞান ও মুক্তি অর্জন করেছেন।
Q31. নিম্নলিখিত কোন বেদ ত্যাগ এবং বিবিধ ধর্ম অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করেন?
✅ Option: C) যজুর্বেদ
ব্যাখ্যা: যজুর্বেদ প্রধানত ত্যাগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করে। যজুর্বেদ মন্ত্র এবং শ্লোকগুলির একটি সংগ্রহ যা হিন্দু পূজা এবং আচারে ব্যবহৃত হয়। এটি "বলিদানের জ্ঞান" বা "উপাসনার জ্ঞান" হিসাবেও পরিচিত।
ব্যাখ্যা: যজুর্বেদ প্রধানত ত্যাগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করে। যজুর্বেদ মন্ত্র এবং শ্লোকগুলির একটি সংগ্রহ যা হিন্দু পূজা এবং আচারে ব্যবহৃত হয়। এটি "বলিদানের জ্ঞান" বা "উপাসনার জ্ঞান" হিসাবেও পরিচিত।
Q32. নিম্নলিখিতের মধ্যে কে ভারতের প্রথম ভাইসর?
✅ Option: A) লর্ড ক্যানিং
ব্যাখ্যা: ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং। তিনি 1858 সালের ভারত শাসন আইন অনুসারে এই পদে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি গভর্নর জেনারেল ছিলেন এবং সিপাহী বিদ্রোহের পর তাকে ভাইসরয় করা হয়।
ব্যাখ্যা: ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং। তিনি 1858 সালের ভারত শাসন আইন অনুসারে এই পদে নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি গভর্নর জেনারেল ছিলেন এবং সিপাহী বিদ্রোহের পর তাকে ভাইসরয় করা হয়।
Q33. পর্যটক ইবন বতুতা কোন দেশ থেকে ভারতে আসেন?
✅ Option: C) মরক্কো
ব্যাখ্যা: পর্যটক ইবনে বতুতা মরক্কো থেকে ভারতে এসেছিলেন। তিনি ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ভারতে আসেন। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক এবং তার ভ্রমণকাহিনী 'রিহলা' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং তার ভ্রমণকাহিনীতে তৎকালীন সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অবস্থার বিবরণ পাওয়া যায়। ভারতে আসার পর, মুহাম্মদ বিন তুঘলক তাকে দিল্লির কাজী অর্থাৎ বিচারক পদে নিযুক্ত করেছিলেন।
ব্যাখ্যা: পর্যটক ইবনে বতুতা মরক্কো থেকে ভারতে এসেছিলেন। তিনি ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে ভারতে আসেন। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক এবং তার ভ্রমণকাহিনী 'রিহলা' বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং তার ভ্রমণকাহিনীতে তৎকালীন সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অবস্থার বিবরণ পাওয়া যায়। ভারতে আসার পর, মুহাম্মদ বিন তুঘলক তাকে দিল্লির কাজী অর্থাৎ বিচারক পদে নিযুক্ত করেছিলেন।
Q34. মহাত্মা গান্ধী কোন সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরেন?
✅ Option: C) ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে দক্ষিণ আফ্রিকা যান। সেখানে তিনি ভারতীয়দের প্রতি বর্ণবৈষম্য, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই করেন। তিনি অহিংসা এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার রক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর সংগ্রামের সাফল্যের পর এবং গোপাল কৃষ্ণ গোখলের আহ্বানে তিনি ৯ জানুয়ারি ১৯১৫ সালে মুম্বাই বন্দরে পৌঁছে ভারতে ফিরে আসেন। এই দিনটিকেই আমরা আজকে প্রবাসী ভারতীয় দিবস হিসেবে পালন করি।
ব্যাখ্যা: মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে দক্ষিণ আফ্রিকা যান। সেখানে তিনি ভারতীয়দের প্রতি বর্ণবৈষম্য, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই করেন। তিনি অহিংসা এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের অধিকার রক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর সংগ্রামের সাফল্যের পর এবং গোপাল কৃষ্ণ গোখলের আহ্বানে তিনি ৯ জানুয়ারি ১৯১৫ সালে মুম্বাই বন্দরে পৌঁছে ভারতে ফিরে আসেন। এই দিনটিকেই আমরা আজকে প্রবাসী ভারতীয় দিবস হিসেবে পালন করি।
Q35. আগ্রা শহর স্থাপন এবং এটিকে রাজধানীতে পরিণত করেন কে?
✅ Option: B) সিকন্দর লোদি
ব্যাখ্যা: যদিও আগ্রা শহরটি মূলত সিকান্দার লোদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মুঘল সম্রাটরা এর বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিশেষ করে আকবর এবং শাহজাহান।
ব্যাখ্যা: যদিও আগ্রা শহরটি মূলত সিকান্দার লোদি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মুঘল সম্রাটরা এর বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিশেষ করে আকবর এবং শাহজাহান।
Q36. সুভাষচন্দ্র বসু কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
✅ Option: D) ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে ২৩ শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এক কায়স্থ ফ্যামিলিতে উড়িশার কটক শহরে।
ব্যাখ্যা: সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালে ২৩ শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এক কায়স্থ ফ্যামিলিতে উড়িশার কটক শহরে।
Q37. মোহাম্মদ বিন তুঘলক তার নতুন রাজধানীর কী নামকরণ করেন?
✅ Option: C) দৌলতাবাদ
ব্যাখ্যা: ১৩২৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লি থেকে তার রাজধানী দৌলতাবাদে স্থানান্তরিত করেন যা দেবগিরি নামেও পরিচিত।
ব্যাখ্যা: ১৩২৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি দিল্লি থেকে তার রাজধানী দৌলতাবাদে স্থানান্তরিত করেন যা দেবগিরি নামেও পরিচিত।
Q38. ভারতের শেষ ভাইসরয়ের নাম কী?
✅ Option: B) লর্ড মাউন্টব্যাটেন
ব্যাখ্যা: ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সাথে স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেলো ছিলেন ।
ব্যাখ্যা: ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একই সাথে স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেলো ছিলেন ।
Q39. মহেঞ্জোদারো বর্তমানে কোন রাষ্ট্রের অন্তর্গত?
✅ Option: A) পাকিস্তান
ব্যাখ্যা: মহেঞ্জোদারো হলো সিন্ধু সভ্যতার একটি বিখ্যাত প্রাচীন নগরী। এর অর্থ — মৃতদের ঢিবি। এটি খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৬০০–১৯০০ সালের মধ্যে গড়ে ওঠে এবং তখনকার বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও পরিকল্পিত নগর ছিল। এখানে আঁকাবাঁকা নয় বরং সোজা রাস্তাঘাট, পাকা নালা, ইটের বাড়ি এবং স্নানাগার ছিল, যা প্রমাণ করে এরা নগর পরিকল্পনায় খুব উন্নত ছিল। মহেঞ্জোদারো ১৯২২ সালে খননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয় এবং বর্তমানে এখন এটি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
ব্যাখ্যা: মহেঞ্জোদারো হলো সিন্ধু সভ্যতার একটি বিখ্যাত প্রাচীন নগরী। এর অর্থ — মৃতদের ঢিবি। এটি খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৬০০–১৯০০ সালের মধ্যে গড়ে ওঠে এবং তখনকার বিশ্বের অন্যতম উন্নত ও পরিকল্পিত নগর ছিল। এখানে আঁকাবাঁকা নয় বরং সোজা রাস্তাঘাট, পাকা নালা, ইটের বাড়ি এবং স্নানাগার ছিল, যা প্রমাণ করে এরা নগর পরিকল্পনায় খুব উন্নত ছিল। মহেঞ্জোদারো ১৯২২ সালে খননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয় এবং বর্তমানে এখন এটি পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
Q40. জালিওনাবাগের হত্যাকান্ড কত সালে হয়েছিল?
✅ Option: C) ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যা: জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরে ঘটেছিল। এটি গণহত্যা নামেও পরিচিত, যেখানে ব্রিটিশ সৈন্যরা জালিয়ানওয়ালা বাগে জড়ো হওয়া সাধারণ জনগণ ব্রিটিশ সরকারের রাওলাট আইন প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর জেনারেল ডায়ার গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।। এই হত্যাকাণ্ডে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছিলেন সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৩৭৯ জন নিহত ও প্রায় ১২০০ জন আহত তবে বাস্তের সংখ্যা আরো বেশি।
ব্যাখ্যা: জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ১৩ এপ্রিল, ১৯১৯ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরে ঘটেছিল। এটি গণহত্যা নামেও পরিচিত, যেখানে ব্রিটিশ সৈন্যরা জালিয়ানওয়ালা বাগে জড়ো হওয়া সাধারণ জনগণ ব্রিটিশ সরকারের রাওলাট আইন প্রতিবাদের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর জেনারেল ডায়ার গুলি চালানোর নির্দেশ দেন।। এই হত্যাকাণ্ডে বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছিলেন সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৩৭৯ জন নিহত ও প্রায় ১২০০ জন আহত তবে বাস্তের সংখ্যা আরো বেশি।
Q41. ভারতের জাতীয় গান রচনা করেন কে?
✅ Option: B) বঙ্কিমচন্দ্র চ্যাটার্জী
ব্যাখ্যা: ১৮৮২ সালে প্রকাশিত তার আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনে বাংলা ও সাংস্কৃত মিশ্রণ ভাষা বন্দে মাতরম গানটি ভারতের জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বন্দেমাতরম শব্দটির অর্থ হল ' মাকে বন্দনা করি ' এখানে মা মানে মাতৃভূমি 'ভারতবর্ষ'।
ব্যাখ্যা: ১৮৮২ সালে প্রকাশিত তার আনন্দমঠ উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনে বাংলা ও সাংস্কৃত মিশ্রণ ভাষা বন্দে মাতরম গানটি ভারতের জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বন্দেমাতরম শব্দটির অর্থ হল ' মাকে বন্দনা করি ' এখানে মা মানে মাতৃভূমি 'ভারতবর্ষ'।
Q42. বাবরের জীবনের অভিজ্ঞতা গুলি তিনি যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছিলেন তার নাম কী?
✅ Option: A) তুজুক-ই-বাবরি
ব্যাখ্যা: বাবরের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন তার নাম বাবরনামা। এটিকে তুজুক-ই-বাবরি নামেও ডাকা হয়। এটি ছিল বাবরের আত্মজীবনী, যা তিনি চাঘতাই তুর্কি ভাষায় লিখেছিলেন। পরবর্তীতে এটি ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়। বাবরনামা শুধু বাবরের জীবনের ঘটনাই নয়, বরং তৎকালীন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটও তুলে ধরে।
ব্যাখ্যা: বাবরের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলি যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন তার নাম বাবরনামা। এটিকে তুজুক-ই-বাবরি নামেও ডাকা হয়। এটি ছিল বাবরের আত্মজীবনী, যা তিনি চাঘতাই তুর্কি ভাষায় লিখেছিলেন। পরবর্তীতে এটি ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়। বাবরনামা শুধু বাবরের জীবনের ঘটনাই নয়, বরং তৎকালীন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটও তুলে ধরে।
Q43. বিক্রমাদিত্য নামক সম্রাট হলেন--
✅ Option: B) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
ব্যাখ্যা: বিক্রমাদিত্য" নামটি একাধিক রাজার উপাধি ছিল, তবে সাধারণত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত এই নামে পরিচিত ছিলেন।
ব্যাখ্যা: বিক্রমাদিত্য" নামটি একাধিক রাজার উপাধি ছিল, তবে সাধারণত দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত এই নামে পরিচিত ছিলেন।
Q44. ভগবান বুদ্ধের স্ত্রীর নাম কী?
✅ Option: A) যশোধরা
ব্যাখ্যা: যশোধরা ছিলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ যিনি পরে বুদ্ধ হন তার স্ত্রী। তিনি শাক্য বংশের একজন রাজকন্যা ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিদ্ধার্থ ও যশোধরার বিবাহ হয় যখন তারা কিশোর বয়সী। এবং তাদের একমাত্র পুত্রের নাম ছিল রাহুল। সিদ্ধার্থ যখন সংসার ত্যাগ করে সত্য ও মুক্তির সন্ধানে বেরিয়ে যান, তখন যশোধরা অনেক কষ্ট সহ্য করে ধৈর্য ধরেছিলেন। পরবর্তীতে বুদ্ধ যখন বোধিলাভের পর কপিলবস্তুতে ফিরে আসেন, তখন যশোধরা ও রাহুল দুজনেই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। যশোধরার জীবন মূলত ত্যাগ, ধৈর্য ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক হিসেবে বৌদ্ধ সাহিত্য ও ইতিহাসে বর্ণিত রয়েছে।
ব্যাখ্যা: যশোধরা ছিলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ যিনি পরে বুদ্ধ হন তার স্ত্রী। তিনি শাক্য বংশের একজন রাজকন্যা ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিদ্ধার্থ ও যশোধরার বিবাহ হয় যখন তারা কিশোর বয়সী। এবং তাদের একমাত্র পুত্রের নাম ছিল রাহুল। সিদ্ধার্থ যখন সংসার ত্যাগ করে সত্য ও মুক্তির সন্ধানে বেরিয়ে যান, তখন যশোধরা অনেক কষ্ট সহ্য করে ধৈর্য ধরেছিলেন। পরবর্তীতে বুদ্ধ যখন বোধিলাভের পর কপিলবস্তুতে ফিরে আসেন, তখন যশোধরা ও রাহুল দুজনেই তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। যশোধরার জীবন মূলত ত্যাগ, ধৈর্য ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক হিসেবে বৌদ্ধ সাহিত্য ও ইতিহাসে বর্ণিত রয়েছে।
Q45. মুসলিম শাসকদের মধ্যে প্রথম কে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন?
✅ Option: C) আলাউদ্দিন খলজী
ব্যাখ্যা: মুসলিম শাসকদের মধ্যে আলাউদ্দিন খিলজি প্রথম মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন। তিনি তার সাম্রাজ্যে মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজার সংস্কারের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। আলাউদ্দিন খিলজি সৈনিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করেন এবং বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ব্যাখ্যা: মুসলিম শাসকদের মধ্যে আলাউদ্দিন খিলজি প্রথম মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন। তিনি তার সাম্রাজ্যে মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বাজার সংস্কারের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। আলাউদ্দিন খিলজি সৈনিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করেন এবং বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
Q46. রাষ্ট্রকূট, প্রতিহার এবং পালেরা জড়িত ছিলেন--
✅ Option: B) ত্রিশক্তি দ্বন্দ্বে
ব্যাখ্যা: রাষ্ট্রকূট, প্রতিহার ও পাল — তিনটি রাজবংশ কনৌজের দখলের জন্য ত্রিপক্ষীয় সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল, যা ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংঘর্ষ।
ব্যাখ্যা: রাষ্ট্রকূট, প্রতিহার ও পাল — তিনটি রাজবংশ কনৌজের দখলের জন্য ত্রিপক্ষীয় সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল, যা ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘকাল ধরে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংঘর্ষ।
Q47. কুতুব মিনারের নির্মাণ কার্য কে সমাধা করেন?
✅ Option: C) ইলতুৎমিস
ব্যাখ্যা: কুতুব মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন কুতুবউদ্দিন আইবক ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে। দিল্লির মেহরৌলিতে এটি মুসলিম শাসনের বিজয়ের স্মারক হিসেবে তৈরি করতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি কেবল প্রথম অংশ তৈরি করতে পেরেছিলেন। পরে তাঁর জামাতা ও উত্তরসূরি শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ব্যাখ্যা: কুতুব মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন কুতুবউদ্দিন আইবক ১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে। দিল্লির মেহরৌলিতে এটি মুসলিম শাসনের বিজয়ের স্মারক হিসেবে তৈরি করতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি কেবল প্রথম অংশ তৈরি করতে পেরেছিলেন। পরে তাঁর জামাতা ও উত্তরসূরি শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ নির্মাণকাজ শেষ করেন।
Q48. মমতাজ মহল কোন বিখ্যাত মুঘল সম্রাটের স্ত্রী ছিলেন?
✅ Option: C) শাহজাহান
ব্যাখ্যা: মমতাজ মহলের জন্ম হয় ১৫৯৩ সালে। তাঁর আসল নাম ছিল আরজুমান্দ বানো বেগম। তিনি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি আসফ খানের কন্যা এবং নূরজাহানের ভাতিজি ছিলেন। ১৬১২ সালে আরজুমান্দ বানো বেগমের সঙ্গে শাহজাহান –এর বিয়ে হয়। শাহজাহান তাঁকে খুব ভালোবাসতেন এবং তাঁকে “মমতাজ মহল” অর্থাৎ, ‘প্রাসাদের অমুল্য রত্ন’ উপাধি দেন। ১৬৩১ সালে, ত্রয়োদশ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মমতাজ মহলের মৃত্যু হয়। তার স্মৃতিতে শাহজাহান আগ্রায় তাজমহল নির্মাণ করেন, যা আজও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিশ্বখ্যাত।
ব্যাখ্যা: মমতাজ মহলের জন্ম হয় ১৫৯৩ সালে। তাঁর আসল নাম ছিল আরজুমান্দ বানো বেগম। তিনি মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারের একজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি আসফ খানের কন্যা এবং নূরজাহানের ভাতিজি ছিলেন। ১৬১২ সালে আরজুমান্দ বানো বেগমের সঙ্গে শাহজাহান –এর বিয়ে হয়। শাহজাহান তাঁকে খুব ভালোবাসতেন এবং তাঁকে “মমতাজ মহল” অর্থাৎ, ‘প্রাসাদের অমুল্য রত্ন’ উপাধি দেন। ১৬৩১ সালে, ত্রয়োদশ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মমতাজ মহলের মৃত্যু হয়। তার স্মৃতিতে শাহজাহান আগ্রায় তাজমহল নির্মাণ করেন, যা আজও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিশ্বখ্যাত।
Q49. ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
✅ Option: B) উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি
ব্যাখ্যা: উমেশ চন্দ্র ব্যানার্জি একজন বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। ১৮৮৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেন তার নেতৃত্বে প্রথম কংগ্রেস অধিবেশনে ৭২ জন প্রতিনিধি যোগদান করেন।
ব্যাখ্যা: উমেশ চন্দ্র ব্যানার্জি একজন বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। ১৮৮৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে তিনি সভাপতিত্ব করেন তার নেতৃত্বে প্রথম কংগ্রেস অধিবেশনে ৭২ জন প্রতিনিধি যোগদান করেন।
Q50. সুভাষচন্দ্র বসু কোথায় 'স্বাধীন ভারত' সরকার গঠন করেন?
✅ Option: A) সিঙ্গাপুর
ব্যাখ্যা: সুভাষচন্দ্র বসু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানের সহায়তায় ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে ‘স্বাধীন ভারত সরকার’ (Arzi Hukumat-e-Azad Hind) গঠন করেন।
ব্যাখ্যা: সুভাষচন্দ্র বসু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপানের সহায়তায় ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে ‘স্বাধীন ভারত সরকার’ (Arzi Hukumat-e-Azad Hind) গঠন করেন।
✅ Correct: 0 |
❌ Wrong: 0 |
🔷 Total Point: 0

Hi Today gk guide Viewer please, Do Not Spam In Comments